সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে ব্যবহার করছে ডার্ক ওয়েব

নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নজরদারি এড়িয়ে চলতে ভার্চ্যুয়াল-জগতের ফাঁকফোকর ব্যবহার করছে সন্ত্রাসীরা।
সন্ত্রাসী তৎপরতা ও জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে দিতে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ব্যবহার করছে ডার্ক ওয়েব ও এনক্রিপ্টেড বার্তা আদান-প্রদান সেবা। এই সেবাগুলো নিরাপত্তা সংস্থা এমনকি এই সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোরও নজরদারির সুযোগ নেই। সম্প্রতি লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপের এনক্রিপ্টেড মেসেজিং সেবা।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড বলেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে এই এনক্রিপ্টেড সেবায় সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার প্রবেশাধিকার থাকতে হবে। সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে হোয়াটসঅ্যাপের মতো অন্যান্য সেবা সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোপনে যোগাযোগের সুযোগ না দেয়।’
লন্ডনে ওই সন্ত্রাসী হামলার ঠিক আগ মুহূর্তেও প্রধান সন্দেহভাজন খালিদ মাসুদ হোয়াটসঅ্যাপে সক্রিয় ছিল বলে জানা যায়। খালিদ এক অপরিচিত ব্যক্তিকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিল। কিন্তু ওই বার্তায় ঠিক কী বলা হয়েছিল, তা পুলিশ জানতে পারেনি। কারণ ফেসবুকের মালিকানাধীন এই জনপ্রিয় বার্তা পাঠানোর অ্যাপ ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সুরক্ষিত। ফলে কেউ হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনে প্রবেশ করতে পারলেও আদান-প্রদানকৃত বার্তায় কী বলা হচ্ছে, তা জানা যায় না। ওই হামলায় ৪ জন নিহত এবং প্রায় ১২ জন আহত হয়েছে।
এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কমে এ বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের কাজের অবিচ্ছেদ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ অপরদিকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ বেশ উদ্বিগ্ন। কারণ তারা অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র বলেছেন, এ হামলায় তাঁরা স্তম্ভিত। তদন্তে তাঁরা সহযোগিতা করছেন। তবে এ ধরনের সুরক্ষিত বার্তার ওপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণ পাওয়া বেশ জটিল বিষয়। আর যদি পেয়েও যায় তাহলে তা কতটুকু কার্যকর ও স্থায়ী হবে, তা একটি মুখ্য প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে।
মারিফুল হাসান, সূত্র: ইউএসএ টুডে

No comments:

Post a Comment