ভ্যালেন্টাইনস ডেতে দুর্বৃত্তদের থাবা থেকে বাঁচার উপায়

১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে নানা প্রতারণার ফাঁদ পাতে সাইবার দুর্বৃত্তরা। নানা প্রলোভনের মেইল আসে।
লোভ সামলাতে না পেরে সামান্য ভুল করলেই সর্বনাশ। অ্যাকাউন্টের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির পাশাপাশি গুরুতর ক্ষতি করে বসতে পারে দুর্বৃত্তরা।
ব্যবসাবিষয়ক ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডারের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ডেটিং সাইটগুলোতে ব্যস্ত সময় যায়। এ সময়ে ডেটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে সঙ্গীহীনদের নিবন্ধন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। দেড় কোটি ছবি আপলোড হয়, ১০ লাখ ডেটিং ঘটে ও পাঁচ কোটি বার্তা আদান-প্রদান হয়। তা ছাড়া এ সময় অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে কেনাকাটা বাড়ে। এসব ক্ষেত্রে ঝুঁকিও আছে। তাই ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তায় সাবধানতা জরুরি।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ট্রাস্টওয়েভ অনলাইনে নিরাপদ থাকার পাঁচটি উপায় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। জেনে নিন পরামর্শগুলো:
সফটওয়্যার হালনাগাদ রাখুন
আপনার ব্যবহৃত যন্ত্রে হালনাগাদ সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। যখনই কোনো সফটওয়্যারের আপডেট বা হালনাগাদ উন্মুক্ত করা হবে, তা ইনস্টল করে নিন। এতে নানা ধরনের পরিচিত ম্যালওয়্যার থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
ভাইরাসযুক্ত ওয়েবসাইট ও অযাচিত মেইল এড়িয়ে যান
শুধু ভাইরাসপূর্ণ ওয়েবসাইটে যাওয়া বাদ দিলেই হবে না, এর সঙ্গে প্রতারণাপূর্ণ মেইলের লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেসব মেইলে লোভনীয় অফার বা নানা প্রলোভন দেখানো হয়, সেসব অযাচিত মেইল পড়াও বাদ দিতে হবে। যদি ব্যাংকের নামে কোনো মেইলও হয়, তবে মেইলের লিংকে ক্লিক না করে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বা ওই লিংকটি ব্রাউজারে পেস্ট করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
প্রাইভেসি সেটিংস ব্যবহার করুন
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে আপনার যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার প্রাইভেসি সেটিংস ভালো করে খেয়াল করুন। আপনার বিশ্বস্ত গ্রুপের বাইরে কারও কাছে তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। আগের সবার জন্য উন্মুক্ত করা পোস্টগুলোতে নজর দিন। প্রাইভেসি সেটিংস ঠিকঠাক থাকলে কারও প্রোফাইল লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো সাইবার দুর্বৃত্তদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যা পোস্ট করেন, তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিলে সারা দুনিয়া দেখবে। তাই গুরুত্বপূর্ণ কিছু পোস্ট করার আগে প্রাইভেসির বিষয়টি নিয়ে ভালো করে ভাবুন।
পাসওয়ার্ডের বাইরেও ভাবুন
এখন আর শুধু পাসওয়ার্ড দিয়ে নিজেকে নিরাপদ ভাবা ঠিক হবে না। প্রায় সময়ই পাসওয়ার্ড হ্যাক হতে দেখা যাচ্ছে। টু-স্টেপ অথেনটিকেশন বা দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবহার করুন। এখন অনেক ওয়েবসাইট বা সার্ভিস দুই স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে। দুই স্তরের এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ব্যবহারকারীকে তাঁর অ্যাকাউন্টে নিয়মিত পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি লগ ইন করার সময় স্মার্টফোন ও ট্যাবে আরও একটি কোড ব্যবহার করতে হয়। এতে অতিরিক্ত একটি স্তরের নিরাপত্তা পাওয়া যায়। তাই যতক্ষণ হাতে মোবাইল থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত আর কেউ অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারছে না, সে বিষয়টি নিশ্চিত হন। অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক, ড্রপবক্সের মতো অনেক সার্ভিসের ক্ষেত্রে দুই স্তরের এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া রয়েছে। নতুন কোনো যন্ত্রে যখনই লগ ইন করতে যাবেন, তখন পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি গোপন কোড চাওয়া হবে। এটি কেবল আপনার ফোনে তৎ​ক্ষণাৎ পাবেন। যদি হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড জানে, তবে আপনার মোবাইলে আসা কোড না জানা পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারবে না।

No comments:

Post a Comment