স্মার্টফোন-নিয়ন্ত্রিত রোবট !


কিছু হারিয়ে গেছে বা কোথাও কিছু পড়ে আছে, যেখানে মানুষের পক্ষে যাওয়া সম্ভব না, সেই জিনিস খুঁজে বের করতে বা সেখানে যেতে পাঠানো হবে ‘স্পাই রোবট’
। একে স্মার্টফোন দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। পাশে থাকা মনিটরে দেখা যাবে এর গতিবিধি। এই রোবট তৈরি করেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের এ এস এম শামীম হাসান। শামীম রোবটির নাম দিয়েছেন স্মার্টফোন-নিয়ন্ত্রিত রোবট।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের আবদুল গণির ছেলে শামীম। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র। পরিত্যক্ত কলম, প্লাস্টিক বোর্ড, বলপয়েন্ট পেনের রিফিল, ক্লিপ, ছোট ব্যাটারি, তার আর কিছু ছোটখাটো যন্ত্র নিয়ে স্মার্টফোন-নিয়ন্ত্রিত রোবটটি বানিয়েছেন শামীম।
শামীমের রোবট মূলত উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা যায়। মানুষ যেখানে যেতে পারে না, সেখানে রোবটটি অনায়াসে যেতে পারে। সেই জায়গার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে পারবে রোবটটি। রোবটের চারপাশে কোনো বস্তুর অবস্থান জানার জন্য এর ক্যামেরাটি ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে ভিডিওচিত্র ধারণ করতে পারবে এবং তা সরাসরি মনিটরে দেখাবে। তবে আরেকটি স্মার্টফোন ব্যবহার করা হলে টিভি মনিটরের প্রয়োজন নেই।
শামীম বলেন, ‘পরিত্যক্ত কলম দিয়ে রোবটের একটি হাত বানানো হয়েছে। সঙ্গে লাগানো আছে ক্লিপ। এটি দিয়ে কোনো নমুনা বস্তু তুলে নিয়ে আসতে পারবে রোবটটি। এই রোবটে তারহীন ব্লুটুথ আছে। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে একে আরও বেশি দূরত্ব থেকে নিয়ন্ত্রণ করার যাবে। এটি ৫০ গ্রাম ওজনের বস্তু তুলে আনতে পারে।’
শামীম ২০০৭ সালে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে এইচএসসি পাস করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। শামীম হোসেন জানান, তিনি এরই মধ্যে ওয়াটার লেভেল কন্ট্রোলার, জেনারেটরের ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, স্মার্টফোন কন্ট্রোলড হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও সিকিউরিটি লক, স্বয়ংক্রিয় ফ্যান রেগুলেটর, সোলার ট্যাকার তৈরি করেছেন।
শামীমের রোবট সম্পর্কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মমতাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সময়ে রোবট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হচ্ছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। শামীম আইডিয়া পেলে ছোট এই রোবট থেকে হয়তো একদিন বড় কিছু তৈরি করছে পারবে।’

No comments:

Post a Comment