মৃত্যুর আগের দিন লেখা থিউরিতেই বিখ্যাত হন ‘গ্যালোয়া’

এভারিস্ত গ্যালোয়া একজন ফরাসি গণিতবিদ। অ্যাবষ্ট্রাক্ট আলজেব্রার প্রধান দুটি শাখা, “গ্যালোয়া থিউরি এবং গ্রুপ থিওরী” আবিস্কার করেন তিনি। মৃত্যুর আগেরদিন লেখা একটি
চিঠিতে তিনি প্রমাণ করেন যে, “পঞ্চম বা তার বেশি মাত্রার পলিনমিয়ালের সাধারণ সমাধান মূলকের মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়”। তিনি গনিতেই এতটাই পারদর্শী ছিলেন যে, ঐ সময়কার কোন গনিতবীদই গ্যালোয়ার তত্ত্ব খুব সহজে নিতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর জীবদ্দশায় অনেক রিসার্চ পেপার জনসম্মুখে আনতে পারেননি রাজনৈতিক চক্রন্ত্রের কারনে। তাঁর মৃত্যুর ১৪ বছর পর চিঠির সেই কাগজগুলো থেকে এই থিউরি উদ্ধার হয়। বর্তমানে এই থিউরি গনিতের গুরুত্বপূর্ণ শাঁখার মর্যাদায় অসীন।
১৮৩২ সালের আজকের এই দিনে মৃত্যুনরণ করেন গ্যালোয়া। মাত্র ২০ বছর বয়সেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। এই তাত্ত্বিকের ১৮৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৩১ মে)। তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৮১১ সালের ২৫ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে। তার বয়স যখন ১৪ তখন তার প্রথমবারের মত পরিচয় ঘটে গনিতের সাথে । তিনি গনিতে এতই মজে ছিলেন যে, অন্য সব কিছু পড়া একেবারে ছেড়ে দেন। পরিস্থিতি এমন ছিল যে, গ্যালোয়া যেই পরিমানে গনিত বুঝতেন তত গণিত তার শিক্ষকরাও বুঝতেন না।
১৮২৮ সালে গনিতের জন্য ততকালীন ফ্রান্সের সবচেয়ে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় “আসুলি পলিটেকনিক” এ ভর্তি হতে যান গ্যালোয়া। কিন্তু মৌখিক পরিক্ষায় গিয়ে তিনি পরীক্ষকদের কোন প্রশ্নের উত্তরেই সন্তুষ্ট করতে পারেন নি। অল্পকথায় ব্যাখ্যা ছাড়া উত্তর দেওয়াতে কেউ তা বুঝতে পারে নি কোন পরীক্ষক। সেখানেও ভর্তিতে ব্যার্থ হন তিনি।
সে বছর গ্যালোয়া অন্য একটি নিম্নমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মোট ৩টি গবেষনা পত্র প্রকাশ করেন , “যার মধ্যে একটি বিখ্যাত Galois theory এর ভিত্তি গরে দেয় , অন্য দুইটি ছিল আধুনিক উপায়ে সমিকরনের মুল নির্ণয় সম্পর্কিত এবং নাম্বার থিওরি নিয়ে । পরে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হলে তাঁর সেই গবেষণা গুলো আর আলোর মুখ দেখেনি।

No comments:

Post a Comment