এসময়কালে
আধুনিক চিকিতসা বিজ্ঞানের সুবাদে গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে সে পরীক্ষা
বেশ সহজ হয়েছে। কিন্তু জেনে অবাক হবেন এই আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির অনেক
আগেও শত বছর মতান্তরে হাজার বছর আগেও কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে ব্যতিক্রমি সব
পরীক্ষায় ঠিকই জানা যেত গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে।
আর এই পরীক্ষার জন্য
সেসময় প্রচলন ছিলো বিচিত্র সব পদ্ধতির।
খুব
আগ্রহ হচ্ছে তো জানতে কিভাবে কাজটি করা হতো।অবাক হওয়ারই বিষয়।তখন
আলট্রাসোনোর প্রচলন ছিলো না।পরীক্ষা করে জানা সম্ভব ছিলো না গর্ভের সন্তান
ছেলে না মেয়ে।তবে মানুষের মধ্যে কিছু নিজেদের তৈরি নিয়ম ছিলো যা দ্বারা
নির্ধারণ করা হতো ছেলে হবে না মেয়ে হবে।
১।পায়েস
রান্না করে:৭ মাসের গর্ভাবস্থায় স্বাধ দেওয়ার অনুষ্ঠান হতো।সেই
অনুষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী ১ বাড়ি পায়েস ধামা (বাঁশ দিয়ে তৈরি বড় ঝুড়ি
বিশেষ) দিয়ে ঢেকে রাখা হতো।তারপর ঢাকনা তুলে পরখ করা হতো।পায়েস যদি ফেটে
যেতো তবে বলা হতো মেয়ে হবে আর পায়েস ঠিক থাকলে অর্থাৎ কোন শির বা ফাটল
না হলে বলা হতো ছেলে হবে।
২।নাভি পরীক্ষা:গর্ভবতী থাকা কালিন যদি নাভি সামান্য ফুলে উঠে তবে বলা হতো মেয়ে হবে।নাভি পূর্বের মতো স্বাভাবিক থাকলে ছেলে হবে।
৩।খাবারের
রুচি:ধারণা করা হতো গর্ভাবস্থায় ঝাল জিনিস বেশি খেতে ইচ্ছে হলে ছেলে হবে
আর যদি মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেশি হয় তবে মেয়ে হবে।
৪।ত্বকের
পরিবর্তন:মুখে যদি ব্রণ বা কালো দাগ হতো তবে বলা হতো মেয়ে হবে।মেয়েরা
নাকি মায়ের সৌন্দর্য নিয়ে আসে তাই মুখ ব্রণ বা কালো দাগ হয়।
মুখে যদি কোন প্রকার দাগ বা ব্রণ না হতো তবে বলা হতো ছেলে হবে।
মুখে যদি কোন প্রকার দাগ বা ব্রণ না হতো তবে বলা হতো ছেলে হবে।
৫।মহিলার
নাড়ির রঙ:প্রথম সন্তান হওয়ার পর নাড়ি কাটার সময় যদি দেখা যেতো কালো
নাড়ি তবে ধারণা করা হতো পরের সন্তান ছেলে হবে।আর সাদা নাড়ি হলে পরের
সন্তান মেয়ে হবে।
৬।পূর্বে কোন সন্তান
থাকলে তার মাথার ধরণ:পূর্বের সন্তান যদি কণ্যা সন্তান হতো আর মাথা যদি
আলোক মাথা হতো তবে বলা হতো এবার এর ভাই হবে।অন্যথায় বোন হবে।
৭।পূর্বের
সন্তানের কথা বলা:পূর্বের সন্তান প্রথমে দাদা বা নানা বলা শিখলে নাকি পরের
সন্তান ছেলে হবে আর নানি বা দাদি বলা শিখলে মেয়ে হবে।
আমাদের
কাছে এগুলো কুসংস্কার মনে হলেও পূর্বের মানুষ এগুলোতেই বিশ্বাস করতো।এভাবে
তারা নির্ধারণ করতো গর্ভে কি সন্তান।অনেক ক্ষেত্রে তাদের এ গণনা মিলে
যেতো।
No comments:
Post a Comment