শিশু যৌন নিপীড়নকারীদের রাসায়নিক দিয়ে নপুংশক করার বিতর্কিত আইন পাস

শিশু যৌন নিপীড়নকারীদের রাসায়নিক দিয়ে নপুংসক করার নীতি দেশ থেকে এ ধরনের যৌন অপরাধ নির্মূল করতে পারে
বলে মন্তব‌্য করেছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
উইদোদো বলেন, ইন্দোনেশিয়া মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এ ধরনের যৌন অপরাধে শাস্তির ক্ষেত্রে ‘কোনো আপস নয়’।
বিবিসি বলছে, ইন্দোনেশিয়ায় চৌদ্দ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর চলতি মাসের শুরুর দিকে শিশু যৌন নিপীড়নকারীদের রাসায়নিক দিয়ে নপুংশক করার বিতর্কিত আইন পাস করে ইন্দোনেশিয়া।
দেশটির সংসদে আইনটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়।
ইন্দোনেশিয়ার চিকিৎসক পরিষদ জানিয়েছে, তাদের সদস‌্যদের চিকিৎসার নীতিবিরুদ্ধ এ ধরনের কোনো প্রক্রিয়ায় জড়িত হওয়া ঠিক হবে না।
অঙ্গ-প্রত‌্য‌ঙ্গ অপসারণ করার পরিবর্তে ওষুধের মাধ‌্যমে ব‌্যক্তির কামশক্তি ও ইচ্ছা রহিত করাই হচ্ছে রাসায়নিক দিয়ে নপুংসক করার পদ্ধতি।
প্রেসিডেন্ট উইদোদো বলেন, “আমাদের সংবিধান মানবাধিকারকে সম্মান করে। কিন্তু যৌন অপরাধের প্রশ্নে কোনো আপস নয়।”
তিনি আরো বলেন, “আমার অভিমত হচ্ছে, আমরা যদি ধারাবাহিকভাবে রাসায়নিক দিয়ে নপুংসককরণ শাস্তি চালিয়ে যেতে পারি তবে তা যৌন অপরাধ কমিয়ে আনবে এবং একসময় এটি নির্মূল হয়ে যাবে।”
তবে ইন্দোনেশিয়ার চিকিৎসক পরিষদ জানিয়েছে, নপুংসককরণের মাধ‌্যমে শিশু যৌন নিপীড়ন বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তাদের ভাষ‌্য, তিন বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব‌্যক্তিকে রাসায়নিকভাবে নপুংসক করার পর কারামুক্ত হয়ে তিনি কোনো চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন এবং হরমোন চিকিৎসার মাধ‌্যমে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন। রাসায়নিক নপুংসককরণ সম্পূর্ণ অপরিবর্তনযোগ‌্য নয়। আর সেকারণে এটি খুব কার্যকর কিছু হবে না।
চিকিৎসক পরিষদের নীতি কমিটির চেয়ারম‌্যান প্রিজো সিদিপ্রাতোমো বলেন, “আমাদের চিকিৎসা নীতি সমুন্নত রাখতে হবে। আপনি যখন একজন চিকিৎসক হবেন তখন মানুষের কোনো ক্ষতি হয় এমন কিছু করবেন না বলে শপথ নিতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “দেশের সব চিকিৎসকের প্রতি আমার বার্তা হচ্ছে এই, সবকিছুর পরও আপনি চিকিৎসক, আপনি এটা করতে পারেন না, এমন কী সরকার যদি বলে এটি একজন ধর্ষককে শাস্তি দেওয়ার জন‌্য হচ্ছে, তখনও পারেন না।”
“এটি ক্ষতিকর এবং মানবাধিকারবিরোধী”-বলেন সিদিপ্রাতোমো।

No comments:

Post a Comment