তরুণ প্রজন্মের কাছে যৌনতা এক পীড়াদায়ক অভিজ্ঞতা!

নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যারা যৌন জীবনে সক্রিয় তাদের ১০ শতাংশ অসুখকর যৌনতায় অস্থিরতায় ভুগছেন।
গবেষকরা একটি জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটা জানিয়েছেন লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন-এর গবেষক দল।
জরিপকৃতদের মধ্য থেকে ২৩৯২ জন তরুণ জুটির তথ্য নেওয়া হয়। এদের সবার বয়স ১৬-২১ বছরের মধ্যে। এই কম বয়সীদের মাঝেই যৌনতায় অরুচি চলে এসেছে। কারণ তারা সেক্সে সুখকর অনুভূতি পাচ্ছে না।
গবেষণায় দেখা যায়, এই কম বয়সীদের ৪৪ শতাংশ নারী এবং ৩৪ শতাংশ পুরুষ যৌনতায় এক বা একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এক বছরের মধ্যে গত তিন মাস ধরে তাদের সমস্যা মিটছে না কোনভাবে। তাদের মধ্যে ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ১৩ শতাংশ নারী এমন বাজে সমস্যার কথা বলেন যার কারণে যৌনতার প্রতি তাদের বিতৃষ্ণা চলে এসেছে।
নারীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নেতিবাচক বিষয় হলো অর্গাজম না ঘটা। ফলে তার চরম সুখকর অনুভূতি পান না। ৬ শতাংশ নারী আছেন এ দলে। আর ৫ শতাংশ যৌন আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন না বলেই জানান। পুরুষদের মধ্যে মূল সমস্যা হলো, খুব দ্রুত চূড়ান্ত অনুভূতিতে চলে যাওয়া। ৫ শতাংশ এ সমস্যায় ভুগছেন। আর ৩ শতাংশ যৌনাঙ্গে উত্তেজনা ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
প্রধান গবেষক ড. কার্সটিন মিচেল বলেন, অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের মধ্যে যখন যৌনতার বিষয়টি আসে তখন যৌনবাহিত রোগ সামাল দেওয়া মূল চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের বিষয়টিও শঙ্কায় থেকে যায়। তাই দীর্ঘমেয়াদে যৌন আকাঙ্ক্ষা ধরে রাখতে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।
যৌনশিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে তাদের উৎসাহী করে তুলতে হবে। যাতে করে তারা আগে থেকেই সমস্যা শনাক্ত করতে পারেন। তরুণরা এ বিষয়ে সচেতন হলেই কেবল প্রজন্ম যৌনতা বিষয়ে স্বাস্থ্যকর জীবন লাভ করতে পারে।
সমস্যায় জর্জরিত এক-তৃতীয়াংশই অন্যের পরামর্শ ও সহায়তা চেয়ে থাকেন। মাত্র ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৮ শতাংশ নারী সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন।
যে ১০ শতাংশ সেক্সকে প্রায় বাদ দিয়েছেন তাদের মনে করেন, এ কাজ করলে আবারো আগের সমস্যা জড়িয়ে পড়বেন।
তবে সব সমস্যার সমাধান দিতে যথাযথ যৌনশিক্ষাকে একমাত্র অবলম্বন বলে মনে করেন কার্সটিন। দুজনের মধ্যে আলোচনা এবং সুখকর অনুভূতি বৃদ্ধির বিষয়ে মতামতের পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে অবস্থা পুরো বদলে দেওয়া সম্ভব। এ বিষয়ে তরুণদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও মন্দ নয় বলে মনে করেন গবেষকরা।এ গবেষণাপত্রটি 'জার্নাল অব অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ'-এ প্রকাশিত হয়েছে।

No comments:

Post a Comment