অনেকে বলছে ‘SciNet’ আসলে নাকি গুগলকে হার মানাবে, হারাতে বসবে গুগলের একচেটিয়া জৌলুস l কেন? ‘SciNet’ এ এমন কি ব্যতিক্রম গুনাবলী আছে যা তাকে গুগলকে হার মানাতে সহায়তা করবে?

হেলসিঙ্কি ইনস্টিটিউট ফর ইনফরমেশন টেকনোলজির গবেষকরা তৈরি করেছেন এই সার্চইঞ্জিনটি। তাঁদের দাবি কোন বিষয়ে সার্চ করতে হবে সে বিষয়ে ইউসারের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও SciNet নিজে থেকেই সেটা বুঝতে পেরে নিজে থেকেই সার্চ অপশন দেবে। সার্চের বিষয় সম্পর্কিত কিওয়ার্ডসের
যোগান দেবে। গুগলের থেকেও নাকি অনেক দ্রুত সেই বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পৌঁছে দেবে ইউসারের হাতের মুঠোয়।



বর্তমানে সার্চইঞ্জিনের দুনিয়ায় রাজ করছে 'সবজান্তা' গুগল। কিছু টাইপ করলেই অন্তর্জাল দুনিয়ায় প্রাপ্ত সেই সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যের সন্ধান দিতে সিদ্ধহস্ত গুগল। গুগলের একচেটিয়া রাজত্বে বহুদিন আগেই ব্যাকফুটে অনান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো। মার্কিনি এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা এত দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে যে সারা দুনিয়াতেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় ১ থেকে ১০ নম্বরে বোধহয় শুধুই গুগলরাজ।



তবে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় জোর গুজব গুগলের এই একাধিপত্যে বোধহয় এবার ভাগ বসাবে সাইনেট। অনেকেতো আবার দাবি করছেন এবার গুগলের সাম্রাজ্যের পতন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তবে, এর আগে এমন দাবি করেছিল মাইক্রোসফটও। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে তাদের স্বপ্নের সার্চইঞ্জিন Bing গুগল সাম্রাজ্যে আঁচড়টুকুও কাটতে পারেনি। সাইনেট কি সত্যিই পারবে গুগলের মনোপলি ঘোচাতে? নাকি বাস্তবে 'যে বেশি গর্জায় , সে তত কম বর্ষায়' প্রবাদটিই সত্যি হবে? উত্তর শুধুমাত্র সময়ের গহ্বরে।

No comments:

Post a Comment