মোবাইল ফোন সিম ক্লোন হতে সাবধান !

আপনি কি জানেন ? আপনার ফোন সিম ক্লোন হতে পারে। আর ফোনের মেমোরিতে থাকা সব তথ্য চলে যেতে পারে অন্যের হাতে। ক্লোনড সিম দিয়ে জঙ্গি তৎপরাতাসহ নানা অপরাধের আশংকা করছেন গোয়েন্দারা। আর টেলিকম্যুনিকেশন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন সিম ক্লোন হলেও সচেতনতার অভাবে অনেকে তা বুঝতে পারছেন না। তারা এজন্য মোবাইল ফোন অপারেটরদের সচেতনতামূল কর্মসূচির তাগিদ দিয়েছেন। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার কারীর সংখ্যা বাড়ছে। ৬টি মোবাইল ফোন কোম্পানির এখন গ্রাহক ৯কোটি ৩০ লাখ। কিন্তু সচেতনতার অভাবে এর ঝুকিও দিন দিন বাড়ছে। সর্বশেষ ঝুকি হল মোবাইল ফোনের সাবসক্রাইবার আইডেন্টিফিকেশন মডিউল বা সিম ক্লোনিং। এই সিম ক্লোনিং অনেকই বুঝে উঠতে পারছেন না। কারুর মোইল ফোনের ব্যালেন্স যদি হঠাৎ করে অস্বাভাকিভাবে কমে যায়। অথবা একই নম্বার দু’জন ব্যবহার করছেন তাহলে বুঝতে হবে মোবাইল ফোনের সিম ক্লোন হয়েছে। এখন কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিম ক্লোন হচ্ছে। আর এই পদ্ধতিতে সিম ক্লোন করতে মুল সিমের কোন প্রয়োজনই নেই। অপরিচিত নম্বার থেকে মিসড কল পেয়ে কেউ যদি কৌতুহলী হয়ে কল ব্যাক করেন তাহলে তিনি সিম ক্লোনিং ঝুকির মধ্যে পরে যেতে পারেন। সিম ক্লোনের সঙ্গে মেবাইল ফোনটিও ক্লোন হয়ে যায়। এর ফলে ফোনে থাকা সব ধরনের তথ্য চলে যায় অন্যের হাতে। আর মূল সিমের অবকিল আরেকটি সিম ব্যবহার করতে পারেন অন্য কেউ। যা দিয়ে নানা অপরাধসহ জঙ্গি তৎপরতার মত কাজ হতে পারে। তাই গ্রাহকের উচিত অপরিচিত কোন নম্বার থেকে সিম কল এলে কল ব্যাক না করা। ফোনের মেমোরিতে এটিএম কার্ড. ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা অন্য কোন জরুরী তথ্য না রাখা। আর সিম ক্লোনের কোন আলামত পেলেই পুলিশ অথবা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরকে জানান। বাংলাদেশের মোবাইল ফোন অপারেটরা দাবী করছেন তারা এখনো সিম ক্লোন হওয়ার কোন অভিযোগ পাননি। তাই সচেতনতামূলক কর্মসূচির কথা ভাবছেন না। কিন্তু ভারতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে । সেখানে কমপক্ষে ১ লাখ সিম ক্লোন হওয়ার অভিযোগ পা্‌ওয়া গেছে। আর তাই ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ থেকে বিশেষ সতর্কতা জারী করা হয়েছে। অতএব বাংলাদেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদরে উট পাখির মত মুখ গুজে থাকার কোন সুযোগ নেই এমন মন্তব্য বিশেষজ্ঞ এবং আইন- শৃংখলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের।।সিম কার্ড ক্লোনিং নিয়ে চারেদিকে হই চই চলছে। এটা কিভাবে করে সেদিকে না গিয়ে কয়েকটা ছোট্ট সতর্কতা বলে দেই।-> আপনার ব্যালেন্স নিয়মিত চেক করুন। অহেতুক কোন কারনে ব্যালেন্স কমে গেলে কাষ্টোমার কেয়ার এ খোঁজ নিন। তারা যদি বলে আপনি কোন কল/ এস এম এস করেছেন, তাহলে ধরে নিন আপনার সিম ক্লোন করা হয়েছে।-> যদি কোন নম্বর থেকে মিস-কল আসে, অপরিচিত নম্বর, তাহলে ব্যাক করবেন না। কারো যদি কথা বলার দরকার থাকে, নিজেই ফোন দেবে।-> এটা সব ক্ষেত্রে হয়না * কথা বলার সময় খেয়াল করুন কোন ধরনের ডিজিটাল টোন পাচ্ছেন কিনা? যদি IMSI ki বা ডাটা এনক্রিপশন কী ব্যবহার করে আপনার সিম ক্লোন করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক ধরনের টোন পাওয়া যায়। অনেক সময় মাইক এর সাউণ্ড সেটিংস এ সমস্যা হলে একটা চিন চিন সাউন্ড হয়। অনেকটা সেরকম।-> সিম অফ করে কল দিন সিমে। যদি বন্ধ আসে, তারমানে ক্লোনিং হচ্ছে না। তবে তার মানে এই নয় যে ক্লোন হয়নি। ক্লোন যারা করেছে, তারা যে ধরনের সিষ্টেম ব্যবহার করে, তাতে চাইলে কোন সিম ইচ্ছে করলে অফ করেই রাখতে পারে। তাই মাঝে সাঝেই এই কাজটা করে দেখুন।-> চেষ্টা করুন কাষ্টোমার সেন্টার থেকে আইটেমাইজড বিলিং নিতে। এতে ওরা একটা ভালো অ্যামাউন্ট চার্জ করবে, তবে সুবিধা হল, আপনি বিল দেখলে বুঝতে পারবেন কোন কলটা আপনার করা, কোনটা না। যদি সন্দেহ জনক কিছু থাকে, তাহলে তো সেটার প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।-> হ্যান্ডসেট রিপেয়ার, কাউকে ধার দেওয়া এবং নিজের সিম অন্য কাউকে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরত থাকুন। শুধু মিস কল দিয়েই না, সিম রিডার ব্যবহার করেও আপনার সিমটা ক্লোন করা হতে পারে। সাবধান এ ক্ষেত্রে।-> যেহেতু এটা অনেক ভাবে আপনার ক্ষতি করতে পারে, যদি টের পান সিম ক্লোন হয়েছে, নিকটস্থ থানায় একটা জিডি করুন এ মর্মে। তাতে আইনী ঝামেলার ক্ষেত্রে কিছুটা রেহাই পাবেন। বলা তো যায়না, আপনার ক্লোন করা সিম দিয়ে কাউকে হুমকী দেওয়া হয়েছে কিনা !

No comments:

Post a Comment