৫. ই কমার্স
উন্নত বিশ্বের মত বাংলাদেশেও ই-
কমার্স ব্যবসা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। সেদিন
বেশি দূরে নয়, ভোক্তাদের একটা বড়
অংশ অনলাইনে তাদের কেনাকাটা
সেরে ফেলবে
।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট
রকমারি.কম, আজকের ডিল, এখনি.কম
ইত্যাদি সাইটসমূহ ইতিমধ্যে
লাইমলাইটে চলে এসেছে। জানা
গেছে, ভালই সেল হচ্ছে তাদের।
ই-কমার্স ব্যবসা করতে হলে এখনই
সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকে। কারণ
যত লেট করবেন, পিছিয়ে পড়বেন। ২০১৫
সাল যদি হয় আপনার ই-কমার্স ব্যবসা শুরু,
অর্থাৎ, সুন্দর একটি সাইট তৈরি,
প্রোডাক্ট প্লান (কি ধরনের প্রোডাক্ট
থাকবে, তার মার্কেট ডিমান্ড),
কাষ্টমার সাপোর্ট সিস্টেম, এরপর
আসবে সাইট মার্কেটিং/
ইত্যাদি। এরপর........২০১
হবে আপনার ব্যবসা/লাভ। তার পূর্বেও
হতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনার
সাইটের প্রোডাক্ট, ভিজিটর,
মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ের উপর। কত
লাভ/ইনকাম হবে মাসে? এটা বলা
মুশকিল। তবে অনলাইন শপিং মল তো!
যদি লক্ষাধিক ভিজিটর ঢুকাতে
পারেন সাইটে, ভিজিটর তার
কাঙ্খিত ও কোয়ালিটি জিনিষ পায়,
তবে তো সারছে! মাসে লক্ষ লক্ষ
টাকা কামাতে পারবেন আপনি। কত
লক্ষ? সময়ই বলে দিবে।
ই-কমার্স ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল
ইনভেষ্টমেন্ট কম এবং পর্যায়ক্রমে
ইনভেষ্টমেন্ট (অর্থাৎ, অবস্থা বুঝে
বিনিয়োগ), ফলে ঝুঁকি কম।
ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে পারেন
না, আপনি কি ই-কমার্স ব্যবসা করতে
পারবেন?
হ্যাঁ, আপনিও পারবেন। তবে ই-কমার্স
সাইট তৈরি শেখা কঠিন কিছু নয়।
চেষ্টা করলে আপনিও শিখতে
পারবেন। আর যদি নাও পারেন, কাওকে
দিয়ে সুন্দর একটি সাইট তৈরি করে
নিন। সাইট কিভাবে মেইনটেন করবেন,
অর্থাৎ প্রোডাক্ট এড করা, অর্ডার
ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি টুকিটাকি
বিষয় শিখে নেন। এরপর শুরু করে দিন ই-
কমার্স বিজনেস। আল্লাহ সহায় থাকলে
সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ।
আর হ্যাঁ, ই-কমার্স সাইট তৈরিতে দক্ষ
হলে আপনি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং
সাইটেও প্রচুর কাজ করে আয় করতে
পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটসমূহে একটু
ঢু মারলেই বুঝতে পারবেন এ ধরনের
কাজের পরিমান ও বাজেট। ধন্যবাদ
সবাইকে, ভাল থাকবেন।
No comments:
Post a Comment