2015 সালের বেষ্ট অনলাইন আর্নিংস ট্রেন্ডস-৩


৩. অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট
কতদিন আগেই একটা খবর সাড়া জাগাল
গোটা দুনিয়ায় । হোয়াটস অ্যাপ
নামের স্মার্টফোনের একটি
অ্যাপ্লিকেশন ফেসবুকের কাছে
বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৯০০ কোটি
ডলারে!

স্মার্টফোনের এই অ্যাপ্লিকেশন
(অ্যাপ) দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
কথা বলা যায়, বার্তা পাঠানো যায় ।
হালজমানার স্মার্টফোনে বিভিন্ন
কাজ করতে অ্যাপ লাগে । আবার
গেমেরও আছে অনেক অ্যাপ । অ্যাপ
জনপ্রিয় হলে তার পরিণতি কী
হোয়াটস অ্যাপের উদাহরণই এ জন্য
যথেষ্ট । বাংলাদেশে মুঠোফোনের
ব্যবহারকারী যেমন বেড়ছে, তেমনি
এখন স্মার্টফোনের সংখ্যাও বাড়ছে ।
তাই গড়ে উঠছে অ্যাপসের বাজার ।
বাংলাদেশের তরুণেরও আকর্ষণীয় সব
অ্যাপস বানাচ্ছেন । আপসের সুবিধা
হলো, তৈরি হলেই এটা পেতে
পারে বিশ্ববাজার ।দেশে মোবাইল
অ্যাপস তৈরির প্রতিযোগিতা হচ্ছে,
বিভিন্ন কর্মশালা প্রশিক্ষন কার্যক্রমও
চলছে । তাই এখন অ্যাপস তৈরিকে
পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া যায়
সহজেই । অ্যাপস নিয়ে কাজ করছে
এথিকস অ্যডভান্সড টেকনোলজি
লিমিটেড (ইএটিএল) । নিজস্ব অ্যাপ
ষ্টোরও চালু করেছে । ইএটিএলের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান
জানালেন, বর্তমানে বাংলাদেশেই
অ্যাপস কেনা যাচ্ছে নিজের
মোবাইলের ব্যালেন্স দিয়ে । তাই যত
বেশি অ্যাপস নির্মাতা বাড়বে,
তেমনি বাড়েবে অ্যাপসের বাজার ।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে
চাহিদা বাড়ছে অ্যাপসের । মোবাইল
অ্যাপস আসলে একধরনের সফটওয়্যার, যা
মোবাইল এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারে
ব্যবহার করা যায় । আবার ফেসবুকের
জন্যও আছে আলাদা অ্যাপস । গেম,
ক্যালেন্ডার, মিউজিক প্লে-য়ার
থেকে শুরু করে যেকোনো কাজের
জন্যই অ্যাপ তৈরি হতে পারে ।
দীর্ঘদিন ধরে দেশের ও দেশের
বাইরের অ্যাপস তৈরির সঙ্গে জড়িত
এমসিসি লিমিটেডের প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আশ্রাফ
আবীর জানান, বর্তমানে সারা
বিশ্বে অ্যাপসের বাজার রয়েছে এক
হাজার ১০০ কোটি ডলারের, যা
আগামী বছর হবে দুই হাজার ৬০০ কোটি
ডলারের । এ বিশাল বাজারে কেউ
যোগ দেওয়ার কথা চিন্তা করলেই তার
সামনে পুরো বিশ্ব খুলে যাবে ।
অ্যাপসের আয়ের উদাহরণ হিসেবে
তিনি জানান, বর্তমানে জনপ্রিয় গেম
অ্যাপ অ্যাংরি বার্ডের বছরে আয় হয়
১৯ কোটি পাঁচ লাখ ডলার! একটি মাত্র
আপ দিয়েই এ আয় করে এ অ্যাপের
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোভেরিও ।
বাংলাদেশে ১০ কোটি লোক এখন
মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে । মোবাইল
অ্যাপ্লিকেশন ও স্মার্টফোন খাত খুব দ্রুত
বড় হওয়ায় এখন অনেকেই এ ক্ষেত্রে
পেশা গড়তে চাইছেন । নিজে অ্যাপস
বানাতে চাইলে তাঁকে কম্পিউটার
প্রোগ্রামিং জানতে হবে । আবার
নিজের সৃজনশীল কোন ধারণা নিয়েও
কারিগরি একটা দল বানিয়ে অ্যাপস
নির্মাণ প্রতিষ্ঠান খোলা যেতে
পারে । মুক্ত সফটওয়্যার লিমিটেডের
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম
শাহরিয়ার । তিনি জানান, চাইলে
যে কেউ ফ্রিল্যান্স অ্যাপ নির্মাতা
হিসেবেও কাজ করতে পারেন, আবার
চাকরিও করতে পারবেন । তবে অবশ্যই
অপারেটিং সিস্টেম ( অ্যান্ড্রয়েড,
আইওএস, উইন্ডোজ ইত্যাদি) অনুযায়ী
নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রোগ্রামিং
জানতে হবে । বাংলাদেশের
বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা
তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর নানা আন্তর্জাতিক
প্রতিযোগিতায় নিয়মিত পুরস্কৃত হচ্ছেন
। ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তি বাজার হবে
মোবাইল ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন
বাজারকেন্দ্রিক । যার কারণে
প্রোগ্রামাররা এ খাতে নিজেদের
পেশা গড়তে পারেন ।

No comments:

Post a Comment