ইন্টারনেটের ক্লাউড কি ?

ক্লাউড মূলত ওয়েব সার্ভার। অর্থাৎ ওয়েব এ আপনাকে প্রয়োজনীয় জায়গা দেয়া হবে যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল বা ফোল্ডারগুলো রাখতে পারবেন। যেমন মাইক্রোসফট এর স্কাই ড্রাইভ কিংবা গুগল ড্রাইভ-এ আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল ফোল্ডার রাখতে পারেন। ক্লাউড সার্ভারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হোল এতে কাজ করার সময়
আপনি হার্ডওয়ার রিসোর্স যোগ করতে পারেন, যেমন সি পি ইউ বা RAM। এছাড়াও ক্লাউড এ থাকা ডাটা যেকোনো সময় অন্য কোন মেমোরি ডিভাইসে ট্রান্সফার করা যায়। আমরা স্কাই ড্রাইভ বা গুগল ড্রাইভ-এ যে ওয়ার্ড, এক্সেল বা পাওয়ার পয়েন্টে কাজ করি সেগুলো কিন্তু ক্লাউড স্টোরেজ এ সেভ হয় (আপনি চাইলে পিসিতে ও সেভ করতে পারেন)। আপনার পিসির ফিসিকাল ড্রাইভে অফিস ইন্সটল করা না থাকলেও আপনি এই কাজ গুলো ক্লাউড সার্ভারের মাধ্যমে করতে পারবেন। একে বলে ক্লাউড কম্পিউটিং। আরও বিস্তারিত জানতে http://www.interoute.com/cloud-article/what-cloud-computing এই লিঙ্কে যেতে পারেন।





ইন্টারনেট ক্লাউড হলো একটা ভার্চুয়াল সার্ভার যেটা আপনি নিজের লোকাল কম্পিউটার এর মতন ব্যবহার করতে পারবেন। এইটা এখন হার্ড ডিস্ক স্পেস হতে পারে, ইটা অন্য কোনো সার্ভিস হতে পারে (প্রসেসিং পাওয়ার বা মেমরি)। কিন্তু সব ইন্টারনেট এর মাধ্যমে অন্য কোনো জায়গায়।



ক্লাউড কম্পিউটিং এর মূল সুবিধা হলো আপনার হার্ডওয়্যার নিয়ে মাথা ঘামাতে হচ্ছে না। ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডার এর কাছে মেশিন গুলা আছে আপনি শুধু একটা ইন্টারফেস দিয়ে কাজ করবেন। আরেক টা বড় সুবিধা হলো, ধরেন আপনার কোনো কাজ এর জন্য অনেক প্রসেসিং পাওয়ার লাগে কিন্তু এই কাজ টা শুধু মাঝে মাঝে হয়. উদাহরণ দিতে গেলে, ধরেন যখন SSC বা HSC পরিখ্হার রেসাল্ট দে তখন অনেক লোড পরে মেশিন এর উপর আর মাঝে সার্ভার ডাউন ও হয়ে যায়। এই সমস্যা এড়াতে আপনি সার্ভার এর ক্যাপাসিটি বাড়াতে পারেন, কিন্তু সারা বছর যখন এই মেশিন টা এত লোড টানছে না তখন এইটা পুরাই অপচয়। কিন্তু ক্লাউড এর সুবিধা হচ্ছে আপনার যখন এই লোড বাড়াতে হচ্ছে আপনি বাড়িয়ে নিতে পারছেন আবার যখন দরকার নাই তখন ছেড়ে দিতে পারছেন। যে এই সার্ভিস দিছে সে আপনার দরকার এর সময় আপনাকে দিতে পারছে আর যখন আপনার দরকার নাই তখন সে ঐটা বসে না রেখে আরেকজন কে দিতে পারছে কারণ সবাই তো একটা ভার্চুয়াল মেশিন ব্যবহার করছে।



সহজ কথায় ইন্টারনেট ক্লাউড হচ্ছে, আপনার কম্পিউটারে হার্ডডিস্ক আপনি যেই কাজে ব্যাবহার করছেন ইন্টারনেট ক্লাউড ঠিক একই কাজ করে ।আপনার হার্ডডিস্ক যেমন দোকান থেকে কিনতে হয় এবং অনেক ব্র্যান্ডের পাওয়া যায় (Samsung,Toshib
a,etc) তেমনি ইন্টারনেট এর ক্লাউডের জন্য আপনার ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে এবং যারা ক্লাউড সুবিধা প্রদান করে তাদের কাছে আপনার account করতে হবে, যেমন google drive (service provider: google, skydrive(SP:microsoft),dropbox ইত্তাদি। তারা আপনাকে limited পরিমানে ফ্রী স্পেস দিবে যেমন ৮জিবি, ১০ জিবি, ১৬জিবি(ফ্রী তে এই পরিমান স্পেস কিন্তু খারাপ না কিন্তু আপনি প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে স্পেস ক্রয় করতে পারবেন। ব্যাপারটা কিন্তু আরও অনেক বিস্তৃত।



No comments:

Post a Comment