যে মহাবিশ্বকে নিয়ে আমাদের এতো গবেষণা, সেই মহাবিশ্ব সময়ের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দিকে।
বিভিন্ন
দেশের একদল গবেষক সম্প্রতি নিশ্চিত হন যে, ২ বিলিয়ন বছর আগে আমাদের
মহাবিশ্ব যে পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করতো এখন তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী টেলিস্কোপগুলো ব্যবহার করে বিশ্বের শক্তি পরিমাপ
করা হয় এবং ফলাফল হিসেবে জানানো হয় আমাদের এই বিশ্ব মৃত্যুমুখে পতিত হতে
চলেছে।
এই গবেষণায় মহাকাশ এবং পৃথিবীতে
স্থাপিত অনেকগুলো টেলিস্কোপ ব্যবহার করে ২ লাখেরও বেশি গ্যালাক্সির শক্তি
উৎপাদনের মাত্রা মাপা হয় বিভিন্ন ওয়েভলেংথে। এই গবেষণায় বিশ্বের মৃত্যু
ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করে একটি ভিডিও তৈরি করা হয়।
১৩.৪
বিলিয়ন বছর আগে যখন এই বিশ্ব তৈরি হয় বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে, তখন তার
শক্তির অনেকটাই বস্তু হিসেবে আটকা পড়ে যায়। বিভিন্ন তারকা যখন জ্বলতে থাকে
তখন তারা এই বস্তু থেকে আবার শক্তি তৈরি হয়, যা বিজ্ঞানি আলবার্ট আইনস্টাইন
ব্যাখ্যা করেন তার E=mc2 ফর্মুলায়। বিগ ব্যাং থেকে সৃষ্ট শক্তিটা দিয়েই
বিশ্বের পুরো সিস্টেম চলছে বটে কিন্তু এভাবে তারকা পুড়ে তৈরি হওয়া শক্তিও
তার সাথে যুক্ত হচ্ছে। এই নতুন শক্তি মূলত মহাশুন্যের মধ্য দিয়ে চলার সময়ে
ধুলোয় শোষিত হয়ে যায়, অথবা আরও দূরে ভ্রমণ করতে থাকে যতক্ষণ না তা
বাধাপ্রাপ্ত হয়।
১৯৯০ সাল থেকেই
গবেষকেরা জানতেন মহাবিশ্ব বুড়ো হয়ে যাচ্ছে, কমে আসছে তার জীবনীশক্তি। তবে
এবার অনেকগুলো টেলিস্কোপ ব্যবহার করে গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে অনেক শক্ত।
বিশ্বের মৃত্যুর পর আসলে কী হবে তা অবশ্য জানা যায়নি।
No comments:
Post a Comment