শুক্রাণুর ক্ষতি ঠেকাতে বিশেষ এক ধরনের কাপড় ও তন্তু দিয়ে অন্তর্বাস তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা !


বেড়েই চলেছে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপের ব্যবহার। গবেষকেরা ধারণা করেন, মোবাইল ফোন থেকে নির্গত তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণ বা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কারণে শুক্রাণুর ক্ষতি হয়। যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা শুক্রাণুর ক্ষতি ঠেকাতে বিশেষ এক ধরনের কাপড় ও তন্তু দিয়ে অন্তর্বাস তৈরি করেছেন।
তাঁদের দাবি, এই অন্তর্বাস ওয়াই-ফাই সমর্থনকারী যন্ত্র যেমন-স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ থেকে নির্গত তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণ ৯৯ দশমিক নয় শতাংশ পর্যন্ত আটকে দিতে পারে। তাঁরা এই অন্তর্বাসের নাম দিয়েছেন ‘ওয়্যারলেস আর্মার’। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টেলিগ্রাফ অনলাইন।
যুক্তরাজ্যের গবেষক জোসেফ পারকিনস এই অন্তর্বাস তৈরি করেছেন। এই প্রকল্প সফল করতে ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে তহবিল সংগ্রহ করেন তিনি।
এই অন্তর্বাসকে স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন নাম দিয়েছেন ‘সুপারহিরোদের অন্তর্বাস’। এটি তৈরিতে কাপড়ের সঙ্গে বিশুদ্ধ রুপার তন্তু ব্যবহার করা হয়েছে। এতে তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং শুক্রাণুর ক্ষতি করতে পারে না।

গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, ওয়্যারলেস আর্মারের রেডিয়াটেক্স ফেব্রিক ১০০ মেগাহার্টজ থেকে দুই দশমিক ছয় গিগাহার্টজ পর্যন্ত বিকিরণ ৯৯ দশমিক নয় শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ করতে পারে। এ ছাড়াও এই অন্তর্বাস ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী।
গবেষক পারকিনস বলেন, ‘আর সবার মতো আমার ক্ষেত্রেও সাম্প্রতিক সময়ে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের ব্যবহার বেড়ে গেছে। এখন প্রচুর তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণের সামনে উন্মুক্ত হয়ে পড়ছি। কুঁচকি এলাকায় তার প্রভাব পড়ছে বেশি। পদার্থবিজ্ঞানে পড়াশোনার কারণে খুব সহজেই এ সমস্যার সমাধানের পথটি জানা ছিল।’
অবশ্য স্মার্টফোনের ব্যবহারের ফলে শুক্রাণুর ক্ষতির বিষয়টি নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। তবে এক্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেদের সাম্প্রতিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের সঙ্গে তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণ বিষয়টির সম্পর্ক রয়েছে।
আর্জেন্টিনার গবেষকেদের করা এক গবেষণার ফল বলছে, ওয়াই-ফাই সুবিধার ল্যাপটপের কাছে চার ঘণ্টা থাকা মানে ২৫ শতাংশ শুক্রাণুর মৃত্যু। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ক্যানসারের জন্যও দায়ী এই বিকিরণ।
যুক্তরাজ্যে ২৪ থেকে ৩৫ পাউন্ড দামে ওয়্যারলেস আর্মারের ওয়েবসাইট থেকে এই অন্তর্বাস বিক্রি হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment