ভবিষ্যতের যোগাযোগ ব্যাবস্থা,হাইপারলুপে আধঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম !

কল্পনা করা বেশ কঠিনই বটে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম মাত্র আধঘণ্টায়! অবশ্য নিকটভবিষ্যতে ‘হাইপারলুপ’ নামের যোগাযোগ ব্যবস্থা যদি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় তবে এর চেয়েও কম সময়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছানো যাবে


আজ ১২ আগস্ট ‘হাইপারলুপ’ নামের এমন একটি নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থার নকশা উন্মোচন করবেন স্পেস এক্স এবং টেসলা মোটরসের প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক। এক খবরে জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।

এলন মাস্কের দাবি, হাইপারলুপ হবে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির যোগাযোগ প্রযুক্তি। সৌরশক্তিনির্ভর এ যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় ৬০০ মাইলেরও বেশি গতিতে যোগাযোগ করা যাবে অথচ এ যোগাযোগ প্রযুক্তি হবে প্লেন বা ট্রেনের চেয়ে সাশ্রয়ী। স্টেশন থেকে দ্রুতগতির হাইপারলুপ প্রযুক্তির যানে চেপে দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

হাইপারলুপ প্রযুক্তির যানের নকশা বা এ যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানাননি মহাকাশযান ও বৈদ্যুতিক গাড়ির উদ্যোক্তা এলন মাস্ক। ২০১২ সাল থেকে তিনি এ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন।
 

হাইপারলুপ

হাইপারলুপ প্রযুক্তি মার্কিন ব্যাংকগুলোর অর্থ লেনদেনের একটি পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহূত হয়। এলন মাস্কের মতে হাইপারলুপ হবে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির কনকর্ড বিমান, দ্রুতগতির ট্রেন ও এয়ার হকির নকশার সমন্বিত রূপ। এটি এমন  একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে, যার মাধ্যমে একটি টিউব কয়েকটি দেশ অথবা শহরজুড়ে থাকবে। টিউবের ভেতর থাকবে ক্যাপসুল। টিউব ব্যবস্থার মধ্যে কোনো বায়ু থাকবে না। ফলে থাকবে না কোনো প্রকার ঘর্ষণ শক্তি। এই দ্রুতগতির ক্যাপসুলে চড়ে ঘণ্টায় ৬০০ মাইল বেগে ভ্রমণ করা যাবে। হাইপারলুপ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় দুই লাখ মানুষের ভ্রমণের সুযোগ থাকবে। আর নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট এবং নিউইয়র্ক থেকে বেইজিং যেতে লাগবে ২ ঘণ্টা।

হাইপারলুপের সম্ভাবনা


প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজমোডো জানিয়েছে, দ্রুতগতির হাইপারলুপ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী নন এলন মাস্ক। তিনি এখন ব্যস্ত রয়েছেন তাঁর মহাকাশ ভ্রমণ প্রকল্প ‘স্পেস এক্স’ নিয়ে। মঙ্গল অভিযানের জন্য মহাকাশযান তৈরি এবং মহাকাশ ভ্রমণের জন্য বিশেষ নভোযান তৈরি করছে স্পেস এক্স। টেসলা মটরসের ব্যবসা দেখাশোনার ব্যস্ততাও বেড়েছে তাঁর। এসব ব্যস্ততার জন্য খুব শিগগিরই হাইপারলুপ নিয়ে কাজ করা হবে না তাঁর।

মাস্ক আশা করছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রকৌশলীরা হাইপারলুপ প্রকল্পের মতো দ্রুতগতির যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এগিয়ে আসবেন।

No comments:

Post a Comment