ফেসবুক পরিবারে আসছে ফেসবুকের রাজকন্যা !

স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান একবার কৃত্রিম অনুযোগে বলেছিলেন, ‘মার্কের প্রথম এবং প্রধান পছন্দ ফেসবুক। তারপরেই আছে আমাদের পোষা কুকুর—বিস্ট। আমি সত্যিই ঈর্ষান্বিত।’ প্রিসিলার সেই ‘ঈর্ষা’র তালিকায় এবার যোগ হচ্ছে আরেকটি নাম। সেটি তাঁদের
অনাগত মেয়েশিশু, যাকে ফেসবুকের রাজকন্যা বললেও অত্যুক্তি হবে না।
মার্ক জাকারবার্গ নিজেই তাঁর ফেসবুক পাতায় গত শুক্রবার এক বার্তায় বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েই আনন্দের খবরটি জানিয়েছেন। তাঁদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সন্তানের জন্য জাকারবার্গের বাবাসুলভ আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর লেখায়। কারণটাও লিখেছেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাঁরা সন্তান প্রত্যাশা করে আসছেন। কিন্তু পরপর তিনবার গর্ভপাত হওয়ায় সে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে। তবে এবার তাঁরা ঝুঁকিটা কাটিয়ে উঠেছেন। অন্তঃসত্ত্বা প্রিসিলা চ্যান ও অনাগত শিশু সুস্থ আছে। শিশুটি যে মেয়ে, তা-ও জানিয়েছেন মার্ক জাকারবার্গঅনাগত শিশুটিকে এরই মাঝে ফেসবুকের কান্ডারি বলে উল্লেখ করেন মার্ক। মজা করে বলেছেন, ‘আলট্রাসাউন্ডে পাওয়া ছবিতে তাঁর মুষ্টিবদ্ধ হাত আমাকে “লাইক” দিয়ে জানিয়েছে যে আমার পরে সে-ই হাল ধরবে।’সন্তানপ্রত্যাশী যেকোনো দম্পতি অনাগত সন্তানকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন, শিশুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা পরিকল্পনা করেন। গর্ভপাত সে স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দেয়। হঠাৎ করেই পৃথিবীটা তাঁদের কাছে শূন্য ও অর্থহীন হয়ে পড়ে। মানুষ সাধারণত এ ধরনের ঘটনা ভাগাভাগি না করে নিজেরাই কষ্ট পায়। তবে জাকারবার্গ মনে করেন, এই ঘটনাগুলো সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করলে হয়তো নতুন আশার আলো দেখা যাবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক বন্ধুরই এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। আর তাঁদের প্রায় সবাই এখন সুস্থ সন্তানের বাবা-মা। আমাদের ঘটনাটি হয়তো অনেকের মনেই আশা জোগাবে।’ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁরা সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ পেয়েছেন। এখন এই দম্পতি তাঁদের সন্তান এবং নতুন প্রজন্মের জন্য আরও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন।

No comments:

Post a Comment