টেসলা চালকের মৃত্যু, পাশে গবেষকরা

মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার এক চালক গাড়ির অটো পাইলট ফিচার ব্যবহার করার সময় দূর্ঘটনায় মারা যান। এটিই প্রথম কোনো স্বচালিত গাড়ি দূর্ঘটনায় কারও মারা যাওয়ার ঘটনা।
এ ঘটনায় স্বচলিত গাড়ি প্রযুক্তির সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন এ প্রযুক্তির গবেষকরা, জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রকৌশলী এবং যোগাযোগ বিভাগের গবেষকরা এই মৃত্যুকে 'মর্মান্তিক' হিসেবে আখ্যা দিলেও, এ কারণে এই সফটওয়্যার উন্নয়নের কোনো বাঁধা দেওয়া উচিত নয় বলেও মত দিয়েছেন তারা।
চলতি বছর মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রোডে ৪০ বছর বয়সী জোসুয়া ব্রাউন যখন টেসলা মডেল এস চালাচ্ছিলেন, দূর্ঘটনাবশত গাড়িটি মালবাহী লরি'র নিচে চলে যায়। এই ঘটনার পর অবিলম্বেই মার্কিন কর্তৃপক্ষ এবং টেসলা নিজেও তদন্ত শুরু করে।
ব্লগে এক বিবৃতিতে টেসলা-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রযুক্তিটি এখনও মানোন্নয়ন পর্যায়ে আছে এবং এটি যখন চালকদের "যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ এবং দায়িত্ব রক্ষা করতে” ব্যবহার করা হবে, তখন এটি তাদের জন্য একটি সহযোগী ফিচার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। অটোপাইলট ফিচারটি “পরিসংখ্যানের দিক থেকে হিসেব করলে নিরাপত্তার পর্যাপ্ত উন্নতি করেছে" বলেও দাবি প্রতিষ্ঠানটির। 
গবেষকরা খবরটি দেখে মন্তব্য করেন যে, টেসলার দূর্ঘটনার জন্য প্রযুক্তির উন্নতিতে বাঁধা দেওয়া উচিৎ নয়। ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টল-এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভাগের অধ্যাপক নেলো ক্রিশ্চিয়ানিনি জানান, সড়কে নিরাপত্তা দেওয়ার মত এর (টেসলার) যথেষ্ট ক্ষমতা আছে।
টেসলা জানায় মানবচালিত গাড়ির তুলনায় স্বচালিত গাড়ির দূর্ঘটনা কম হয়েছে। "স্বচালিত গাড়িতে ১৩ কোটি মাইলে দূর্ঘটনায় একটি মৃত্যু ঘটে ওইদিকে ৯ কোটি ৪০ লাখ মাইলে সাধারণ চালকদের একটি মৃত্যু ঘটে থাকে"- বলেন তিনি।

No comments:

Post a Comment