যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাপান পর্যন্ত ‘ফাস্টার কেব্ল’

যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে নয় হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ফাইবার অপটিক কেব্ল স্থাপন করেছে গুগল। কেব্লটি প্রতি সেকেন্ডে ৬০ টেরাবাইট গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে সক্ষম।
এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ এবং দ্রুতগতির এই কেব্লের মধ্যে দিয়ে ডেটা আদান-প্রদান শুরু হয় ৩০ জুন। এই প্রকল্পে গুগলের সঙ্গে কাজ করেছে এশিয়ান টেলিকম গ্রুপসহ আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান।
আগে স্যাটেলাইট-নির্ভর থাকলেও এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রায় সব ডেটা পরিবহন সমুদ্রের তলদেশে স্থাপিত কেব্লের মাধ্যমে করা হয়। ডেটা আদান-প্রদানে ব্যবহৃত এই কেব্ল সাধারণত খুবই সরু হয়। হাঙরের আক্রমণে প্রায়ই এ ধরনের সংযোগ বিকল হওয়ার খবর শোনা যেত। কেব্লের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎচৌম্বকীয় সংকেত হাঙরের আকৃষ্ট হওয়ার প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়। ক্ষতি রোধে তাই বিভিন্ন স্তরের আবরণ, স্টিলের তার এবং প্লাস্টিক ব্যবহার করায় সমুদ্রের তলদেশে ইন্টারনেট কেব্ল স্থাপন করা ব্যয়সাপেক্ষ। ‘ফাস্টার কেব্ল সিস্টেম’ নামের এই কেব্ল স্থাপনে মোট খরচ ৩০ কোটি ডলার। সমুদ্রের নিচে কেব্ল স্থাপনের জন্য বিশেষ নকশার জাহাজের প্রয়োজন হয়, যা দিনে ১২৫ মাইল পর্যন্ত কেব্ল স্থাপন করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য এবং ব্রাজিলের মধ্যে ইন্টারনেট কেব্ল স্থাপন করছে গুগল। এ বছরের শেষ নাগাদ এটি সচল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া থেকে স্পেনের বিলবাওয়ের মধ্যে আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে আরেকটি কেব্ল স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট ও ফেসবুক।
অনলাইনের যত বেশি যন্ত্র যুক্ত হচ্ছে, দ্রুতগতির ইন্টারনেটের চাহিদাও তত বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ক্লাউড সেবার পরিমাণ। এ ক্ষেত্রে গুগল খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ফাস্টার কেব্ল মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে সংযোগ তৈরি করবে। তবে জাপান ও তাইওয়ানের মধ্যে আরেকটি কেব্ল স্থাপন করা হবে। সেকেন্ডে ২০ টেরাবাইট গতির ওই ইন্টারনেট-সংযোগ সম্পূর্ণ গুগলের অর্থায়নে করা হবে।
 সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

No comments:

Post a Comment