যে ৯টি উপায়ে প্রযুক্তি হতে পারে মৃত্যুর কারণ

কম্পিউটার এবং ফোন আমাদের জীবন এতই সহজ করে দিয়েছে যে এসব প্রযুক্তি ছাড়া আমরা একটা দিনও চলতে পারি না। কিন্তু সব ভালো জিনিসেরই রয়েছে খারাপ একটি দিক।
আর আপনার শখের গ্যাজেটটিও আপনাকে আহত করার ক্ষমতা রাখে। আপনার প্রিয় মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, কম্পিউটার ইত্যাদি হরেক রকম যন্ত্রগুলো হয়ে উঠতে পারে আপনার বিপদের কারণ। কিন্তু কীভাবে? আসুন, জেনে নিই।

১) বজ্রপাত

একজন মানুষের ওপরে যখন বজ্রপাত হয়, তখন সাধারণত সেই বিদ্যুৎপ্রবাহ শরীরের ওপর দিয়ে যায়, ভেতরে প্রবেশ করে না। একে বলা হয় “ফ্ল্যাশওভার”। কিন্তু হাতে মোবাইল জাতীয় কিছু ধরে থাকলে সেই বিদ্যুৎপ্রবাহ শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। এতে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অঙ্গ।

২) প্লেস্টেশন র‍্যাশ

প্লেস্টেশনে গেমস খেলার ভক্ত অগণিত। কিন্তু অনেক বেশিক্ষণ ধরে প্লেস্টেশনে গেমস খেলার ফলে সুইজারল্যান্ডের ১২ বছর বয়সী এক মেয়ের হাতের তালুতে দেখা যায় যন্ত্রণাদায়ক ক্ষত। প্লেস্টেশনের নির্মাতারা বলেন যেহেতু মাত্র একজন মানুষের ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটেছে তাই চিন্তিত হবার কিছু নেই। তবে যে কোনো কাজই এমন দীর্ঘ সময় ধরে করতে থাকলে তা থেকে তো আহত হবার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

৩) ফটোসেনসিটিভ সিজার

টেলিভিশন, কম্পিউটার বা ভিডিও গেমসের স্ক্রিনে বিশেষ ধরণের আলোর প্যাটার্ন মানুষের মাঝে তৈরি করতে পারে খিঁচুনি বা সিজার, এমনকি জ্ঞান হারানোটাও অস্বাভাবিক নয়।

৪) ব্ল্যাকবেরি থাম্ব এবং আইপ্যাড হ্যান্ড

ব্ল্যাকবেরি এবং আইপ্যাড ব্যবহারকারীরা একই ভঙ্গিমায় হাত নাড়াচাড়া করতে থাকেন বারবার। এর ফলে পেশি এবং স্নায়ুর ক্ষতি হতে হতে একসময়ে গুরুতর সমস্যা হতে পারে। যেমন কার্পাল টানেল অথবা ট্রিগার ফিঙ্গার। এসব ক্ষেত্রে সার্জারি করে এসব সমস্যার সমাধান করতে হয়।

৫) কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম

দিনের বেলায় দুই ঘণ্টার বেশি কম্পিউটার ব্যবহার করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে বেশ কয়েক ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। মাথাব্যাথা, চোখে ব্যাথা, চোখে ঝাপসা দেখা এবং চোখ শুকিয়ে যাওয়া হলো কিছু সাধারণ উপসর্গ। অনেকের জন্যই এ ব্যাপারটি অস্থায়ী হলেও খুবই বিরক্তিকর হতে পারে।

৬) নকল চার্জার ব্যবহারে মৃত্যু

আমরা যতোই হেলাফেলা করি না কেন, একটি গ্যাজেটের ভেতরে অসম্ভব সূক্ষ্ম সব যন্ত্রপাতি থাকে যা একটু অসাবধানতায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমরা অনেক সময়েই না বুঝে নকল চার্জার ব্যবহার করে থাকি যা এই যন্ত্র নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে আপনার শক লাগতে পারে এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।

৭) টিনিটাস

অনেকটা সময় ধরে যারা মোবাইলে কথা বলতে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে কানে তালা লেগে যাওয়ার ঘটনা খুব বেশি ঘটতে পারে। একে বলা হয়ে থাকে টিনিটাস। তাদের কান ঝাঁ ঝাঁ করতে থাকে এমনিতেই এবং এমন সব শব্দ শুনতে থাকেন যার অস্তিত্ব নেই।

৮) নিঃশব্দ মৃত্যু

যারা নিয়মিত হেডফোন ব্যবহার করেন তাদের জন্য হুঁশিয়ারি। আপনার মৃত্যু হতে পারে যে কোনো সময়। কারণ অনেকেই রাস্তায় চলার সময়ে কানে হেডফোন দিয়ে এতো উঁচু শব্দে গান শুনতে থাকেন যে আশেপাশে দিয়ে চলা গাড়ির শব্দ শুনতে পান না। ফলে এক্সিডেন্ট করে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকটা।

৯) নিনটেন্ডো wii থেকে পাওয়া চোট

এই গ্যাজেটটি দিয়ে খেলার সময়ে স্বাভাবিক খেলার মতই ইনজুরি হতে পারে। বিশেষ করে মাথায় চোট পাওয়া, শোল্ডার ডিসলোকেশন অথবা হাড়গোড় ফ্র্যাকচার হয়ে যাবার মতো ঘটনা দেখতে পাওয়া গেছে।

No comments:

Post a Comment