নগ্ন মডেলের সামনে বসে সেক্স সমস্যার মুক্তি

স্টিভ কারেলের ‘দ্য ফরটি ইয়ার ওল্ড ভার্জিন’ ছবিটির সঙ্গে মিল খুঁজে পেতে পারেন আপনি। বাজারে যখন জাপানি তেলের এত কদর, তখন রিপোর্ট বলছে, সেক্স নিয়ে মাথাব্যথা নেই জাপানি পুরুষদের!
৩০+, অথচ, সেক্স-এর অভিজ্ঞতা একবারও হয়নি কখনও, ভাবা যায়! নারীসঙ্গেও তীব্র অনীহা! এক-দু’জনের হলে কিছু বলার ছিল না। এটা এখন জন-জাপানির সমস্যা। সত্যি বলতে কী, নারী শরীর নিয়ে কোনও মোহ-ই নেই জাপানি পুরুষদের। কেন এত অনীহা, জানা না গেলেও, এটা যে জাপানে এখন সামাজিক সমস্যার রূপ নিয়েছে, তা জাপানিরাও একবাক্যে স্বীকার করেন।

কেমন অনীহা, ২০১০ সালের এক সমীক্ষা দেখলেই কিছুটা তার আন্দাজ পাওয়া যায়। জাপান টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিরিশ-ঊর্ধ্ব অবিবাহিত পুরুষের ২৫ শতাংশই এখনও ‘কুমার’, অর্থাত্‍‌ কিনা ভার্জিন। সেক্স তো দূরের কথা, নারীসঙ্গও তাঁদের হয়নি। সমীক্ষাটি করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পপুলেশন অ্যান্ড সোশাল সিকিওরিটি রিসার্চ।

জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বছর ৪৯-এর এক জাপানি ব্যক্তির বক্তব্য ছাপা হয়, যিনি কিনা মাত্র দু-বার নারী সান্নিধ্যের চেষ্টা করেও, পাননি। একবার প্রেম নিবেদন করে, সাড়া পাননি। আর একবার সেক্সুয়ালি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। দু-বারই উলটো তরফে ‘না’ হয়ে যায়, তার কারণ পূর্বে নারীসঙ্গের কোনও অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না।

এমনিতেই সেক্স-টেক্সে জাপানিদের আগ্রহ অন্য দেশগুলোর তুলনায় কম। পাশ্চাত্যের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে, জাপানিরা মাসে খুব কম দিনই শারীরিক ভাবে মিলিত হন। ১৯ বছর বয়সে পৌঁছেও ৬৮ শতাংশ জাপানি ভার্জিন। সেখানে তুর্কিদের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ এবং জার্মানদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ।

জাপানি পুরুষদের এই সেক্স-সমস্যার হাত থেকে বের করে আনত, এবার নগ্ন মডেলদের সামনে বসানো হচ্ছে। দাবি, তাতেই নাকি কাজ হচ্ছে। হোয়াইট হ্যান্ড নামে এক সংস্থা উদ্যোগী হয়ে এই পরীক্ষা চালাচ্ছে। বলা হচ্ছে, ভার্জিন ব্রেকার। যার নেপথ্যে সিংগো সাকাতুসম নামে এক ব্যক্তি। শিনগোর দাবি, যে সমস্ত পুরুষের মধ্যে যৌন অস্বাভাবিকতা রয়েছে, বা যৌনতা নিয়ে হতাশ, তাঁদের জন্য কাজ দিচ্ছে ভার্জিন ব্রেকার। আর কিছুই না, নগ্ন মডেলের সামনে বসে তাঁরা যৌনতার পাঠ নিচ্ছে। নারী শরীর নিয়ে জানতে পারছে। রং-পেনসিলে ছবি আঁকছেন। নিজেদের মধ্যে থাকা যৌন-জড়তা বা অস্বস্তি কাটাচ্ছেন এ ভাবেই।

বছর ৪১-এর এক ভার্জিন পুরুষের প্রতিক্রিয়া, উফ! নারী শরীর যে এত সুন্দর আগে ধারণা ছিল না। এমনকী নারীদের স্তনেও আপনি বৈচিত্র্য খুঁজে পাবেন। আমি তো দেখে অভিভূত! কার মুখে শুনছেন? ৪০-ঊর্ধ্ব একজন ভার্জিন পুরুষের মুখে।

মডেল দিয়ে এই আর্ট কোর্সের সাফল্য দেখে শিনগো তো একটি বইও প্রকাশ করে ফেলেছেন। নাম ওই একই ভার্জিন ব্রেকার। এখন দেখার, শিনগোর ভার্জিন ব্রেকার, আদতে জাপানি পুরুষদের কৌমার্য হরণ করতে পারে কি না। মানে, যৌনতায় আকৃষ্ট হয়ে জাপানিদের গায়ে লেগে থাকা সেক্স-অনীহার চির-দুর্নাম ঘোচাতে সক্ষম হয় কি না।

No comments:

Post a Comment