পেপ্যালের সেবা ভিসা কার্ডে

আন্তর্জাতিক অনলাইন লেনদেন–ব্যবস্থা পেপ্যালের সঙ্গে চুক্তি করেছে ভিসা ইনকরপোরেশন। অনলাইন লেনদেন ব্যবসাকে বাড়াতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার এই চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি। এই চুক্তির ফলে ভিসার ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য পেপ্যাল থেকে লেনদেনে বিশেষ সুবিধা হবে।
এ চুক্তির মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক লেনদেন থেকে বাহ্যিক অবকাঠামোগত লেনদেনের পথে এগিয়ে গেল পেপ্যাল।
সম্প্রতি পেপ্যাল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রান্তিক আয় ঘোষণার সময় জানিয়েছে, ই-কমার্স কোম্পানি ই-বে থেকে আলাদা কোম্পানি হিসেবে কাজ শুরুর পর পেপ্যালের কার্যক্রম আরও বেড়ে গেছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির আয় গত বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
ভিসার সঙ্গে চুক্তি হওয়ার ফলে পেপ্যালের এখন আরও অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেল। পেপ্যালের কর্মকর্তারাও সে ইঙ্গিত দিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট ড্যান স্কুলম্যান বলেন, ‘আমাদের ইকোসিস্টেমে অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
পেপ্যালের প্রোডাক্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গ্লোবাল হেড বিল রেডি বলেন, ভিসা-পেপ্যালের চুক্তির ফলে ভিসার ডেবিট কার্ড ব্যবহারকারীরা সরাসরি পেপ্যাল অ্যাকাউন্টের অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন লাগতে পারে। এদিকে ভিসা কর্তৃপক্ষ পেপ্যালকে ট্যাপ অ্যান্ড পে ফিচারে যুক্ত করবে। এতে যাঁরা কেনাকাটা করেন, তাঁরা মোবাইল ফোন বা ট্যাব ব্যবহার করে কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করতে পারবেন।
১৮ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান পেপ্যালের বর্তমান গ্রাহকসংখ্যা ১৮ কোটি ৮০ লাখ, যা গত বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেড়েছে। পেপ্যালের ২৮ শতাংশ (২৪ বিলিয়ন ডলার) লেনদেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে হয়ে থাকে।
বাংলাদেশেও শিগগিরই পেপ্যাল সুবিধা চালু হতে পারে। পেপ্যালের সঙ্গে চুক্তি করেছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক। এতে আগামী মাস থেকেই পেপ্যালের সেবা মিলতে পারে বাংলাদেশে। অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশে পেপ্যালের সেবা চালু করার দাবি ছিল।
পেপ্যাল বাংলাদেশে চালুর ব্যাপারে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে পেপ্যালের কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এতে আমরা অনেক দূর এগিয়েছিও। আশা করি, ফ্রিল্যান্সারসহ দেশবাসীকে অল্প কিছুদিনের মধ্যে একটি সুখবর দিতে পারব।

No comments:

Post a Comment